
৳ ১৪০ ৳ ৭৭
|
৪৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১১৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৬৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





"বরকতময় রমজান" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
সাহাবী হযরত সালমান ফারসি রা. বর্ণনা করেছেন-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের সামনে এক ভাষণ প্রদান করেন। তিনি বলেছেন :br হে মানুষেরা! এক মহান মাস, এক বরকতময় মাস তোমাদের ওপর ছায়া বিস্তার করেছে। এই বরকতময় মাসের একটি রাত (শবে কদর) হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এই মাসের রোজা আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন এবং রাতের (তারাবীহ) নামাজকে তিনি নফল করেছেন (যাতে অনেক সওয়াব রয়েছে)। যে ব্যক্তি এই মাসে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির আশায় এবং তাঁর নৈকট্য হাসিল করার উদ্দেশ্যে ফরজ নয় এমন কোনো (সুন্নত-নফল) ইবাদত করবে, এতে সে অন্য সময়ের একটি ফরজ আদায়ের সওয়াব পাবে। আর এই মাসে একটি ফরজ আদায়ের জন্যে অন্য সময়ের সত্তরটি ফরজের সমান সওয়াব পাবে। এটা ধৈর্য ও সবরের মাস। আর ধৈর্যের পুরস্কার হলো বেহেশত। এটা সহমর্মিতার মাস, সহানুভূতির মাস। এটা সেই মাস, যাতে মুমিন বান্দাদের রিজিক বাড়িয়ে দেয়া হয়। যদি কেউ এই মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাহলে তা তার গোনাহের কাফফারা এবং দোজখ থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যম হবে। এর পাশাপাশি সে ঐ রোজাদারের সমান সওয়াবও পাবে। (এটা কেবলই আল্লাহ তায়ালার দয়া।) এতে রোজাদারের সওয়াব সামান্যও কমবে না। (বরং রোজাদার তার রোজার পূর্ণ সওয়াবই পাবে।)
এই কথা শুনে শ্রোতাদের কেউ প্রশ্ন করল :ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের সবার তো এতটুকু সামর্থ্য নেই, যা দিয়ে সে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে! (তাহলে কি যারা অসচ্ছল তারা এই সওয়াব থেকে বঞ্চিত থাকবে?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : যে কাউকে সামান্য দুধ দিয়ে কিংবা একটি খেজুর দিয়ে অথবা এক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করাবে তাকেও আল্লাহ তায়ালা এ সওয়াব দেবেন। (অর্থাৎ এ সওয়াব পেট ভরে কিংবা কেবল ভালো ভালো জিনিস দিয়ে ইফতার করানোর ওপর মওকুফ নয়।) যে কোনো রোজাদারকে এই মাসে পানি খাওয়াবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে তার হাওজে কাওসার থেকে এমন পানীয়ক পান করাবেন, যার ফলে সে বেহেশতে প্রবেশ করার পূর্ব পর্যন্ত আর পিপাসার্ত হবে না।
তিনি আরও বলেন : এই মাসের প্রথম অংশ রহমতের কারণ, দ্বিতীয় অংশ ক্ষমা ও মাগফেরাতের কারণ আর শেষ অংশ দোজখের আগুন থেকে মুক্তির কারণ। যে ব্যক্তি নিজের কৃতদাস ও কর্মচারীদের কাজ এই মাসে সহজ করে দেবে, আল্লাহ তায়ালা তার গোনাহ মাফ করে দিবেন এবং তাকে দোজখের আগুন থেকে বাঁচাবেন। রমজান মাসে তোমরা তাই চারটি কাজ বেশি পরিমাণে করো। দুটি কাজ এমন, যা দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। আর দুটি কাজ এমন, যা তোমাদের নিজেদেরই প্রয়োজন । যে দুই কাজ দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুর সন্তুষ্টি হাসিল করবে তা হলো, আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের সাক্ষ্যদান এবং নিজেদের গোনাহের জন্যে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। (অর্থাৎ কালেমায়ে তায়্যেবা এবং ইস্তেগফার এ মাসে বেশি বেশি করো।) আর যে দুটি বিষয় তোমাদের নিজেদেরই প্রয়োজন তা হলো : তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে বেহেশত প্রার্থনা করবে আর দোজখ থেকে আশ্রয় চাইবে। (সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস : ১৮৮৭; বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস : ৩৩৩৬)
Title | : | বরকতময় রমজান |
Author | : | হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মনযূর নোমানী (রহ.) |
Translator | : | মাওলানা শিব্বীর আহমদ |
Publisher | : | রাহনুমা প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789849221302 |
Edition | : | 1st Published, 2017 |
Number of Pages | : | 94 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
মুহাম্মদ মনজুর নোমানী (১৫ ডিসেম্বর ১৯০৫ – মে ১৯৯৭) ছিলেন একজন ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত। তার লিখিত রচনাগুলির মধ্যে প্রসিদ্ধ হলো, মাআরেফুল হাদিস, ইসলাম কেয়া হায়। তিনি ১৯২৭ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক হন। সেখানে তিনি আনোয়ার শাহ কাশ্মীরির অধীনে হাদীস অধ্যয়ন করেন। তিনি চার বছর দারুল উলূম নদওয়াতুল উলামায় শায়খুল হাদিসের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং আবুল হাসান আলী নদভীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ১৯৪১ সালে জামায়াতে ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে তিনি এই দলের উপ-আমির নির্বাচিত হন। তিনি আবুল আলা মওদূদীর দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। ১৯৪২ সালে মওদুদীর সাথে মতবিরোধের পরে তিনি সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপরে তিনি মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভির তাবলীগী জামায়াতে যুক্ত হন। তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের মজলিসে শূরা ও মজলিসে আমিলাহ (কার্যনির্বাহী পরিষদ)-এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের সদস্য ছিলেন। ১৮ শাওয়াল ১৩৩৩ হিজরীতে ব্রিটিশ ভারতের সংযুক্ত প্রদেশের সামভালে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর বাবা সুফি মুহাম্মদ হোসেন ছিলেন একজন মধ্যবিত্ত ধনী ব্যবসায়ী এবং জমিদার। মনজুর নোমানী নিজশহর সামভালে সিরাজুল উলুম হিলালী সারাই মাদরাসায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেছেন । পরে তিনি আজমগড়ের দারুল উলূম মাউতে পড়াশোনা করেছেন। অবশেষে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হন যেখানে তিনি দুই বছর অবস্থান করেন এবং দাওরা হাদিসের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ফারেগ হন । দারুল উলূম দেওবন্দে তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি , মুফতি আজিজুর রহমান এবং সিরাজ আহমদ রশিদী ।
If you found any incorrect information please report us